রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
পুরান ঢাকায় শত রকমের ঐতিহ্যবাহী যে কয়টি জায়গা রয়েছে তার মাঝে নবাব বাড়ি পুকুর অন্যতম। নবাবদের অনেক অজানা ঘটনার সাক্ষী এই নবাব বাড়ির পুকুর। বৃও আকার পুকুরটিকে নবাবরা ‘তালাভ পুকুর’ নামে ডাকতেন বলে জানা যায়। বর্তমানে পুকুরটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে।টাকার কাছে ম্লান হচ্ছে পুকুরটি।
গোসল থেকে শুরু করে টাকার বিনিময়ে মাছ ধরা যায় পুকুরটিতে।এতে করে পুকুরটির পরিবেশ দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সালাম নামে ইসলামপুরের এক বাসিন্দা জানায়, পুকুর সম্পর্কে অনেক তথ্য রয়েছে যার বেশিরভাগ তরুন-তরুনিদের কাছে এখনও তা অজানা। নবাবদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের রাজসাক্ষী হয়ে থাকা এ পুকুরটি এখন বলতে গেলে বড় বড় দালান-কোঠার ভিড়ে হারিয়েই যেতে বসেছে। তেমনি লুকিয়ে যাচ্ছে পুকুরটি সৌন্দর্য মুখ গুলো।
সরোজমিন এ গিয়ে দেখা যায় এক অবিশাস্য দৃশ্য যে জায়গা টি ছিল কেবল মাএ নবাবদের জন্য উন্মুক্ত এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে পুকুরে পাঁচ টাকার বিনিময়ে গোসল করার সুব্যবস্থা, ফলে প্রতিনিয়ত পুকুরের পানিসহ পাড়ের চারপাশ নোংরা হচ্ছে আবার ঠিক পুকুর এর পানি দূষিত হয়ে তা ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ছে। পুরান ঢাকার সদরঘাট এর বাসিন্দা ফরিদ জানায়,এলাকাই এক একরের ও বেশি জায়গা নিয়ে এর অবস্থান। নবাব বাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষ অন্য বিষয়গুলো বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হলেও, অনেকের কাছে এখন ও অজানা হয়ে আছে পুকুরটির কথা, যেমনি শহরের বয়স্ক লোকেদের কাছে গেলে জানা যায় নানা তথ্য তেমনি বেশিরভাগ তরুন-তরুনিদের কাছে এখনও তা অজানা।
নবাবদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের রাজসাক্ষী হয়ে থাকা এ পুকুরটি এখন বলতে গেলে বড় বড় দালান-কোঠার ভিড়ে হারিয়েই যেতে বসেছে। তেমনি লুকিয়ে যাচ্ছে পুকুরটি সৌন্দর্য মুখ গুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে নিউজ ঢাকা২৪.কম কে জানায়,টাকার বিনিময়ে নবাববাড়ী ট্যাংক কমিটির তত্ত্বাবধানে গোসল ও মাছ শিকারের কার্যক্রম চলে। এতে নবাব পরিবারের স্মৃতি জড়িত এ পুকুরটির মর্যাদাহানি ও সৌন্দর্য দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এছাড়া ও একসময় নবাব বাড়ী থেকে এই পুকুরপাড় এ আসার সরাসরি রাস্তা ছিল যা এখন হারিয়ে গিয়েছে, পুকুরে এক সময় একটি লোহার ট্যাং ছিল যা দিয়ে পুরো পুকুরটিতে রাউন্ড দেওয়া যেতো যা এক সময় সবার মাঝে থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। যদি পুকুরের সংশ্লিট কর্তৃপক্ষ , এলাকাবাসী,ও সরকার এই ঐতিহাসিক স্থান গুলো উপর নজর না দেওয়া হয় তাহলে এক সময় হারিয়ে যাবে নবাব বাড়ী পুকুর।